প্রবা
প্রকাশ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১১:১০ এএম
আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১২:৪২ পিএম
বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রভাব দৃশ্যমান। প্রতিবছরই যেন তাপমাত্রা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। তীব্র দাবদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত। মানবদেহের প্রায় ৭৫% পানি এবং এর মধ্যে স্বাভাবিক অবস্থায় ২.৫% পানি ঘাম ও প্রস্রাবের সঙ্গে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। শরীরে পানির ভারসাম্য রক্ষায় দৈনিক ২-২.৫ লিটার পানি পানের প্রয়োজন। তীব্র গরমে ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে বিভিন্ন খনিজ লবণ ও ৩.৫-৪% পর্যন্ত পানি বেরিয়ে যায় এবং শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি করে। পানিশূন্যতার ফলে দুর্বলতা, মাথা ঘোরানো, মাথাব্যথা, গলা শুকিয়ে যাওয়া, চোখে ঝাপসা দেখা, অচেতন হয়ে পড়া, বুক ধড়ফড় করা, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া, প্রস্রাব গাঢ় হলুদ হয়ে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। একই সঙ্গে প্রচণ্ড গরমে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতাও বাড়ে।
দিনের একটা বড়
সময় স্কুল কিংবা কলেজে থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত পানি পানের ঘাটতি থাকে।
এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পানিশূন্যতা ও
হিট স্ট্রোকের বিভিন্ন উপসর্গ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা
প্রয়োজন। সুপেয় পানির ব্যবস্থা থাকার পাশাপাশি তাৎক্ষণিক পানিশূন্যতা রোধে খাবার স্যালাইনও
সংগ্রহে রাখা যেতে পারে। পাশাপাশি পানিশূন্যতা ও হিট স্ট্রোকের কারণ, উপসর্গ, প্রতিকার
ও প্রতিরোধ সম্পর্কে শিক্ষকদের শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের অবহিত করার সঙ্গে গরমে দৈনিক
৩.৫-৪ লিটার পানি পান ও বিভিন্ন রসালো ফল খাওয়ার উপকারিতা ও খোলা, বাসি খাবার না খাওয়া
সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিতে হবে।
লায়লা নুর, সহকারী শিক্ষক
দেবীদ্বার মফিজ উদ্দিন আহমেদ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কুমিল্লা।
শিক্ষকদের বলা হয় জাতি গঠনের কারিগর। একজন আদর্শ শিক্ষকই পারেন তার অনুসারীদের জ্ঞান ও ন্যায়ের দীক্ষা দিতে। শিক্ষার্থীদের মানবতাবোধ জাগ্রত করে একজন শিক্ষক কেবল পাঠদানকে সার্থক করে তোলেন না, পাশাপাশি দেশের উন্নয়নকেও ত্বরান্বিত করেন। সুন্দর পৃথিবী গড়ার ক্ষেত্রে বড় কারিগর শিক্ষক। পৃথিবীতে যারা জ্ঞান ও কর্মে বড় হয়েছেন তাদের প্রত্যেকের জীবনেই শিক্ষকের প্রভাব অনস্বীকার্য। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হেনস্থার ঘটনা চরম অস্বস্তির। এসব ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে যাচ্ছে সকল জায়গায়। যার নেতিবাচক প্রভাব নানা প্রশ্ন দাঁড় করাচ্ছে। শিক্ষকদের নৈতিক অবক্ষয়ের বিষয়টিতে সরকারের পক্ষ থেকেও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
নীলকণ্ঠ আইচ মজুমদার
প্রভাষক, আলীনগর
কারিগরি ও বাণিজ্যিক কলেজ, ঈশ্বরগঞ্জ, ময়মনসিংহ।
সারা দেশে কিশোর গ্যাং কালচার ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে কিশোররা ব্যবহৃত হচ্ছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের অপরাধের ধরনও পাল্টে যাচ্ছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি, চুরি-ছিনতাই থেকে শুরু করে খুনাখুনিসহ নানা অপরাধে কিশোর-তরুণরা জড়িয়ে পড়ছে। তবে দিন যত যাচ্ছে তাদের অপরাধগুলো ক্রমেই হিংস্র, নৃশংস ও বিভীষিকাপূর্ণরূপে দেখা দিচ্ছে। সংঘবদ্ধভাবে প্রকাশ্যে দিনের আলোয় নৃশংসভাবে খুন করা হচ্ছে। পারিবারিক পরিবেশ অনেক ক্ষেত্রেই এ সমস্যার পেছনে প্রত্যক্ষভাবে ভূমিকা রাখে। পারিবারিক বিশৃঙ্খলা অথবা ডিভোর্সের কারণে ভেঙে যাওয়া পরিবারের সন্তানদের মাঝে হতাশা তৈরি হয়। নেশাগ্রস্ত পরিবার যেখানে মাদক/নেশাজাতীয় দ্রব্যের নিয়মিত আসর বসে, সেখানে কম বয়সে অপরাধে জড়িয়ে যাওয়া খুবই নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। বর্তমানে কিশোর গ্যাংয়ের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রায় প্রতিদিনই দেশজুড়ে ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, জমিদখল, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং, ধর্ষণ, খুন-খারাবি ইত্যাদি অপরাধের ঘটনা ঘটছে। এদের অত্যাচার-নির্যাতনে সমাজ বিষিয়ে উঠেছে।
পরবর্তী প্রজন্মকে
রক্ষার লক্ষ্যে এখনই এর লাগাম টেনে ধরা দরকার। না হলে ভবিষ্যতে এটি খুব ভয়াবহ রূপ নিতে
পারে।
মো. মাসুদ হোসেন
চাঁদপুর সদর